প্রতিবন্ধকতাকেই নিজের সবচেয়ে বড় শক্তি করে এগিয়ে যাওয়া এক অনুপ্রেরণার নাম উষা উত্থুপ। ভারিক্কী আর হাস্কি কণ্ঠের মিশেলে যেই অভিনব আওয়াজ তাঁকে করেছে সবার চেয়ে আলাদা সেই মৌলিকত্বকে নিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার পথটা সহজ ছিল না মোটেই। শুধুই গানের প্রতি ভালোবাসা আর গানের সাথে থাকার তীব্র ইচ্ছেকে সাথে নিয়েই গাইতে শুরু করেন তিনি। নাইটক্লাবের গায়িকা হয়ে শুরু করা যাত্রায় ইন্ডিয়ান পপ, ফিল্মি, জ্যাজসহ সিনেমার প্লেব্যাক সিঙ্গার হিসেবে আজ সুপরিচিত এক নাম উষা উত্থুপ।
১৯৪৭ সালের ৭ নভেম্বর সাধারণ মধ্যবিত্ত তামিল পরিবারে জন্ম নেয়া উষা উত্থুপের পারিবারিক নাম উষা বৈদ্যনাথ সোমেশ্বর সামি আইয়ার। ছয় ভাইবোন আর বাবা-মায়ের সাথে মুম্বাইয়ে জন্ম ও বেড়ে ওঠা শৈশবকে বর্ণনা করতে গিয়ে প্রতিবারই তাঁর মুখ থেকে বেরিয়ে আসা শব্দটি হলো ‘অসাধারণ’। বাবা বৈদ্যনাথ সোমেশ্বর সামি আইয়ার ছিলেন তৎকালীন মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চের পুলিশ কমিশনার। ছোটবেলা থেকেই বাসায় ছিল গানের আবহ। দাদা-দাদী আর বাবা-মায়ের ভিন্ন স্বাদের কারণে বিভিন্ন ধারার গান শুনেই বড় হয়েছেন তিনি। ওয়েস্টার্ন ক্ল্যাসিকাল মিউজিক থেকে শুরু করে, হিন্দী, কর্ণাটক, বেগম আখতার, বড়ে গুলাম আলী খানসহ সকল ধরনের গান শুনেই বেড়ে ওঠা তাঁর। বিশেষ করে সে সময় ‘রেডিও সিলন’- এর প্রতি রীতিমতো নেশা থেকে গানের প্রতি তাঁর ঝোঁক বেড়ে যায় বহুগুন। একই সাথে প্রতিবেশী হিসেবে পাওয়া ট্র্যাফিক বিভাগের পুলিশ কমিশনার এসএমএ পাঠানের পরিবারের সাথে তাঁর পরিবারের ঘনিষ্ঠ ও হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক শৈশবকে করে তুলেছিল আরও আনন্দের। বান্ধবী জামিলার উৎসাহেই হিন্দী চলচ্চিত্রের গানের প্রতি আগ্রহ জন্মে তাঁর।
ইংরেজী, হিন্দি, বাংলা, গুজরাটি, মারাঠি, পাঞ্জাবি, মালায়লাম, তেলেগু, কান্নাডা, তামিল, ভোজপুরি, রাজস্থানি, অসমিয়া, খাসি, কঙ্কানি, ওড়িয়্যা ও সিন্ধি- এই ১৭টি ভারতীয় এবং স্প্যানিশ, ফ্রেঞ্চ, জার্মান, ইতালিয়ান, জুলু, সোয়াহিলি, সিংহলি, রাশিয়ান, ইউক্রেনিয়ান- এ নয়টি আন্তর্জাতিক ভাষায় গান গেয়ে খ্যাতি পাওয়া শিল্পী উষা উত্থুপের ভাষার হাতেখড়ি স্কুল জীবনেই। বাসায় সবাই তামিল ভাষায় কথা বললেও স্কুলের প্রথম ভাষা ছিল ইংরেজী, দ্বিতীয় ভাষা হিন্দী, তৃতীয় ভাষা মারাঠি এবং চতুর্থ ভাষা ফ্রেঞ্চ। প্রতিবেশীরা মুসলিম হওয়ায় মুসলিম রীতি-নীতির সাথে সাথে উর্দু ভাষার সাথেও পরিচয় হয় তাঁর।
এরকম বর্ণিল এক জীবনের সবকিছুই যে ইতিবাচক ছিল তেমনটাও না। ১৪-১৫ বছর বয়সে স্কুলের গানের শিক্ষক মিস ডেভিডসন ক্লাস থেকে বের করে দেন তাঁকে। বলা হয়েছিল গান করার জন্যে তাঁর কণ্ঠ উপযুক্ত নয়। মৌলিকত্বকে চিনতে পেরে তাকে সাধুবাদ জানানোর প্রবণতা আজকের দিনে যেমন চোখে পড়ে না, তারচেয়ে খুব বেশী ভিন্ন ছিল না সে সময়ও। তবু মন ছোট করেননি। গানের প্রতি তীব্র নেশাই তাঁকে এগিয়ে নিয়েছে পথ দেখিয়ে।
গানের প্রতি ঝোঁকতো ছিল আগে থেকেই, কিন্তু পারফর্ম করতে চাওয়ার নেশা তৈরি হবার গল্পটাও কম আকর্ষণীয় না। মানুষ আর মানুষের সঙ্গকে সবসময়ই উপভোগ করেন উষা উত্থুপ। স্কুলে থাকার সময় বান্ধবীদের তালি আর বেঞ্চ বাজানোর সাথে তাল মিলিয়ে যখন গাইতেন ‘ও মেরি জহরা জাবিন/ তুঝে মালুম নেহি’ তখন আশেপাশে জমে যাওয়া সহপাঠীদের ভীড় আর তুমুল উৎসাহ তাঁকে নিয়ে যেত সেই স্বপ্নের জগতে। স্টেজে পারফর্ম করার সাধ তখনই মনের মাঝে দানা বাঁধে। তবু গানের ওপর কোন প্রকার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকায় স্বপ্নপূরণের সুযোগ আদৌ কখনো পাবেন তার প্রত্যাশা করেননি।
কিন্তু কথায় আছে মন থেকে চাওয়া ইচ্ছের তীব্রতাই এক সময় স্বপ্নকে সত্যি করার পথে মানুষকে এগিয়ে নেয়। ২১ বছর বয়সে পরিবারের সাথে চেন্নাইয়ে ঘুরতে গেলে নাইন জেমস নামের একটি নাইট ক্লাবে তাঁদের নিমন্ত্রণ জানানো হয়। সে সময় কমার্শিয়াল আর্ট ও ইন্টারিয়র ডেকোরেশনের ওপর পড়াশোনা করছেন তিনি। উষা উত্থুপের গানের প্রতি আগ্রহের কথা জানা ছিল সবারই। আর তাই গান গাওয়ার জন্যে অনুরোধ করা হয় তাঁকে। স্টেজে তাঁর গাওয়া প্রথম গান ছিল ফিভার- ‘ইউ গিভ মি ফিভার হোয়েন ইউ কিস মি, ফিভার হোয়েন ইউ হোল্ড মি টাইট…’
গান গাওয়ার পর শ্রোতাদের তালি আর প্রশংসা উষা উত্থুপকে নিয়ে যায় কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের জগতে। সেই মুহূর্তের অনুভূতিকে এক শব্দে তিনি বলেছেন- নেশা। সেই নেশা থেকেই ১৯৬৯ সালে কলকাতার নাইটক্লাবের গায়িকা হিসেবে যোগ দেন ‘ট্রিঙ্কাসে’। স্বপ্নের পথে হাঁটার শুরু এখান থেকেই। সে সময় বিখ্যাত ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ট্রিঙ্কাসে আনাগোণা ছিল নিয়মিত। একদিন নবকেতন ফিল্ম ইউনিটের সাথে দেব আনন্দও আসেন ট্রিঙ্কাসে। উষা উত্থুপের গান শুনে ভালো লেগে যায় তাঁর। ফিল্মে গান গাওয়ার জন্যে অফার করা হয় তাঁকে। তারপর আর কখনো পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বলিউডে তাঁর যাত্রা ‘বোম্বে টকিস’(১৯৭০) মুভি দিয়ে। শংকর-জয়কিসানের সাথে ‘হারে রামা হারে কৃষ্ণা’ ও একটি ইংরেজী গান রেকর্ড করেন তিনি। একই মুভিতে আর ডি বর্মণের ‘দাম মারো দাম’ গানটিও লতা মুঙ্গেশকারের সাথে তাঁরই গাওয়ার কথা ছিল। রিহার্সেলও হয় গানের। কিন্তু নির্দিষ্ট দিনে রেকর্ডিং-এর জন্যে তাঁকে ডাকা হয়নি। বলা হয়ে থাকে অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কারণে পরে গানটিতে কন্ঠ দেন আশা ভোসলে।
তবে বলিউডে প্লেব্যাক সিঙ্গার হিসেবে উষা উত্থুপকে পরিচিতি ও চূড়ান্ত জনপ্রিয়তা এনে দেয় ১৯৭৮-এ মুক্তি পাওয়া ‘শালিমার’ ছবিতে আর ডি বর্মণের পরিচালনায় গাওয়া গান ‘ওয়ান টু চা চা চা’ এবং বাপ্পি লাহিড়ীর পরিচালনায় ১৯৮০-র ‘পেয়ারা দুশমন’ ছবির ‘হরি ওম হরি’ ও ১৯৮১-র ‘আরমান’ ছবিতে ‘রম্ভা হো’ গানত্রয়। তিনটি গানের জন্যেই পরপর তিন বছর ফিল্মফেয়ারের জন্যে মনোনয়ন পান তিনি। কিন্তু ৪২ বছরের লম্বা সংগীত জীবনের প্রথম স্বীকৃতি পান ২০১১-তে বিশাল ভরদ্বাজের পরিচালনায় ‘সাত খুন মাফ’ ছবির ‘ডার্লিং’ গানটি দিয়ে। রেখা ভরদ্বাজের সাথে শ্রেষ্ঠ গায়িকা হিসেবে ফিল্মফেয়ার এওয়ার্ড জিতে নেন তিনি। এছাড়াও বিভিন্ন ভাষায় তাঁর জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে ১৯৯১-এ ‘দুশমন দেবতা’ ছবিতে ‘উরি উরি বাবা’ এবং পাঞ্জাবি গান ‘কালি তেরে গাট তে পারান্দা তেরা লাল’ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
পরনে কাঞ্জিভরম শাড়ি, কপালে বড় টিপ আর হাত ভরা চুড়ি- উষা উত্থুপের এ যেন চিরচেনা রূপ। অনেকের কাছে সেটা পরিচিত তাঁর ফ্যাশন ট্রেডমার্ক হিসেবেও। কিন্তু সত্যিটা হলো ট্রেডিশনাল মধ্যবিত্ত পরিবারের একটি মেয়ের সাধারণ পরিচ্ছদ নিয়েই স্বপ্নের পিছু ছোঁটার সময়, গানের সাথে সাথে জনপ্রিয়তা পেয়ে যায় তাঁর বাহ্যিকতাও। সত্তরের দশকে নাইটক্লাব সিঙ্গারের সবসময়ের চেনা রূপকে পাল্টে দেয়, শাড়ি পরিহিতা উষা উত্থুপ। তবে তাঁরও আগে এর শুরুটা করেছেন তাঁরই বড় দুই বোন ইন্দিরা আর উমা। শাড়ি পরা দুই বোন গানের জগতে ‘সামি সিস্টার্স’ নামে বেশ পরিচিতিও পেয়েছিলেন সে সময়ে। তবে তাঁরা শুধু ইংরেজি গানই করতেন। পরিচ্ছদের বিষয়টি সাধারণ হলেও টিপ আর চুড়ির প্রতি উষা উত্থুপের ভালোবাসা আর আগ্রহ যে একটু বেশিই তা সংগ্রহে থাকা ১০০০০ এর বেশি চুড়ি ও ৪০০০এর ওপরে টিপের সংখ্যা থেকেই আঁচ করা যায়।
গায়িকা হিসেবে পরিচিত উষা উত্থুপের গুণ শুধু গানের মাঝেই সীমাবদ্ধ না। ছবি আঁকা আর কাপড় সেলাইয়েও সমানভাবে সিদ্ধহস্ত তিনি। পারিবারিক বন্ধু জামিলার মায়ের কাছ থেকেই সেলাইয়ের হাতেখড়ি তাঁর। নিজের ছাড়াও পরিবারের অন্যান্যদের কাপড়ও সেলাই করেন তিনি নিজেই। এমনকি এক অনুষ্ঠানে টলিউডের জনপ্রিয় নায়ক দেবের স্টাইল করে পরা টর্ণজিন্স সেলাই করতে রীতিমতো সুঁচসুতো নিয়ে বসে পড়েছিলেন তিনি। এছাড়া বই পড়তে আর ক্রিকেট ম্যাচ দেখতে ভীষণ পছন্দ করেন উষা উত্থুপ। তবে সবচেয়ে মজার তথ্য হলো, মেয়ে অঞ্জলির মতে মাইকেল জ্যাকসনের মতো করেই মুনওয়াক করতে পারেন বর্ষীয়ান এ গায়িকা।
ট্রিঙ্কাস শুধু তাঁর স্বপ্নপূরণের মাধ্যম হয়নি, একইসাথে নিজের জীবন সঙ্গীও খুঁজে পেয়েছেন এখানেই। সে সময় চা কোম্পানিতে কর্মরত ২৪ বছর বয়সী যুবক জানি চকো উত্থুপ আসেন উষা উত্থুপের ট্রিঙ্কাসের প্রথম শোতে। গান ভালো লাগলে প্রশংসার পর মন দেয়া নেয়ার পর্বের শুরুও এখানে। ১৯৬৯ সালেই বিয়ে করেন তাঁরা। মেয়ে অঞ্জলি উত্থুপ ও ছেলে সানি উত্থুপকে নিয়ে তাঁদের গোছালো সংসার। জীবনের লম্বা সফরে এগিয়ে যাওয়ার পথে উষা উত্থুপের কাছে সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা আর আশীর্বাদ ছিল পরিবারের অকৃত্রিম ভালোবাসা আর সমর্থন। তবে সে সময়ের সাধারণ দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে দিয়ে নাইটক্লাবে গান গেয়ে রীতিমতো পরিবর্তন আনা মানুষটির পেছনে আছে পরিবারকে ভালোবাসা এক মমতাময়ী মা। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছেলে সানির আরোগ্য কামনা করে ২০১৭ সালে নিজের লম্বা চুল কেটে ফেলেন তিনি।
এক টেকেই গান রেকর্ড করে ফেলার অসাধারণ গুণের কারণে ‘ওয়ান টেক উষা’ নামে পরিচিতি পেয়েছিলেন তিনি। নিজেকে মূলত পারফর্মার হিসেবে দেখা উষা উত্থুপ একাধিক ভাষার চলচ্চিত্রে অভিনয়ও করেছেন। এর মাঝে সাত খুন মাফ, বোম্বে টু গোয়া, পোঠান ভাভা, আইডিয়াল কাপল, মানমাদান আম্বু, রক অন ২ ও ফিল্টার কফি লিকার চা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
এত এত অর্জনের মাঝে না পাবার দুঃখও যে নেই, তা নয়। শক্তিশালী আর মৌলিক এই আওয়াজের জন্যে স্টেরিওটাইপড ইন্ডাস্ট্রিতে পর্যাপ্ত সুযোগের অভাব ছিল সবসময়ই। বিখ্যাত লেখক জাভেদ আখতার তার কন্ঠ সম্পর্কে বলেছিলেন বলিউডে মেয়েদের কোকিলকণ্ঠী আর কোমল চরিত্রের যে চলচ্চিত্রায়ন হয় তাতে উষা উত্থুপের এমন এসারটিভ আর স্ট্রং কণ্ঠকে ব্যবহারের সুযোগই তেমন ছিল না। এছাড়া গানের ভুবনে কাটানো সময়ের দীর্ঘ ৫০ বছরে স্বীকৃতির সংখ্যাও নগণ্য। এক্ষেত্রে ২০১১ সালে তাঁর ‘পদ্মশ্রী’ পদকে ভূষিত হওয়া বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
দুর্বলতাকে শক্তি করে এগিয়ে যাওয়া উষা উত্থুপ নিজের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কেও ছিলেন সচেতন। ক্ল্যাসিক্যাল কিংবা গজল ও ভজনের মতো জনরার গানের জন্যে প্রশিক্ষণের অভাব এবং কণ্ঠের সীমাবদ্ধতাকে মনে রেখেই সংগীতের জগতে পদচারণা করেছেন তিনি। এছাড়া বিভিন্ন সময় জনহিতকর কর্মকাণ্ডের সাথেও প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন তিনি।
সকলের কাছ থেকে শোনা ‘দিদি’ ডাকটাকে ভীষণ ভালোবাসেন উষা উত্থুপ। দীর্ঘ যাত্রায় ১০০’র বেশি রেকর্ডিং করা গানের অ্যালবামের মাঝে, হিন্দী থেকে শুরু করে রয়েছে রবীন্দ্র সংগীত পর্যন্ত বিভিন্ন ভাষা ও ধরনের গান। শুধু ভাষার বিচারেই না, অভিজ্ঞতার বিচারেও বেশ বৈচিত্র্যময় জীবন কাটিয়েছেন তিনি। জন্মসূত্রে হিন্দু পরিবারে জন্ম নেয়া উষা উত্থুপের ছোটবেলায় পাওয়া মুসলিম প্রতিবেশী আর একজন খ্রিস্টানের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে ঘনিষ্ঠভাবে বিভিন্ন ধর্মের স্বাদ যেমন পেয়েছেন তেমনি পারিবারিকসূত্রে তামিল হলেও জন্ম ও বেড়ে ওঠা ছিল মুম্বাইতে, বিয়ে করেছেন কেরালায় আর দীর্ঘ সময় ধরে বসবাস করছেন কলকাতায়।
হাস্কি আর ভারী মেজাজের ভিন্ন ও মৌলিক এক কণ্ঠস্বর নিয়ে বিগত ৫০ বছর মঞ্চ মাতানো এক পারফর্মার উষা উত্থুপ। প্রকৃতির নিয়মে উত্থানপতন পেরিয়ে পরিবারের একনিষ্ঠ সমর্থনে জীবনকে ইতিবাচকভাবে দেখে এসেছেন তিনি। প্রজন্মের পর প্রজন্ম পেরিয়ে আজও সমান উৎসাহে গাইতে পারা এ শিল্পীর মৌলিকত্বকে স্বীকৃতি জানানোর কৃপণতা মানুষের মাঝে থাকলেও তা নিয়ে আক্ষেপ করেন না। সব কিছুর পরও ঠোঁটের কোনে ঝুলে থাকা হাসির সাথে জীবনকে ইতিবাচকভাবে দেখার এ প্রবণতা শুধু শিল্পী হিসেবেই না, বরং একজন মানুষ হিসেবেও তাঁকে করে তোলে অতুলনীয়।
This feature written in Bengali tells about the determination of Usha Uthup who happens to be one of the most celebrated singers of the subcontinent. References are hyperlinked into the feature.