বিটলস। সংগীতপ্রেমীদের কাছে তো বটেই বরং যাদের সংগীতে খুব একটা আগ্রহ নেই তাদের কাছেও একটি পরিচিত নাম। খুব বেশি সময় একসাথে না থাকলেও আজ অবধি শ্রোতাদের মন জয় করে চলেছে ব্যান্ডদলটি। প্রকাশিত ১৩টি অ্যালবামের ভেতর তৃতীয় অ্যালবাম ‘A Hard Day’s Night’-এর নামানুসারে ১৯৬৪ সালে মুক্তি পায় ব্যান্ডেরই চার সদস্য অভিনীত সিনেমা A Hard Day’s Night ।
মূলত সিনেমাটির কাহিনি শুরু হয় ট্রেনে বিটলসের লন্ডনযাত্রার মধ্য দিয়ে। বিটলম্যানিয়া তুঙ্গে থাকা সময়টায় জনপ্রিয়তার ‘অভিশাপ’ নিয়ে নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে লন্ডন শহর চষে বেড়ায় এ চতুষ্টয়। তারুণ্যের উচ্ছলতা ও বিটলসের জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করেই মূলত এগিয়েছে গল্পটি। টিভি শো-এর শুটের মাঝে ড্রামার রিংগো স্টারের আকস্মিক অন্তর্ধানের ফলে কাহিনি নেয় নতুন মোড়। জনপ্রিয়তার বেড়াজাল এড়িয়ে তার লন্ডনদর্শন এবং পুলিশি তাড়ায় পুরো দলের শহর পালিয়ে বেড়ানোর দৃশ্যটি নিঃসন্দেহে সিনেমাটিকে করেছে আরো উপভোগ্য। শক্তিশালী প্লটের অভাব থাকলেও রিচার্ড লেস্টার ষাটের দশকের মিউজিকাল কমেডি হিসেবে সিনেমাটিকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। সরল হাস্যরসের মাধ্যমে বিটলসের সদস্যদের নানাদিক তুলে ধরেছে সিনেমাটি। লেননের দুষ্টুমির প্রবণতা, পলের শিশুসুলভ সরলতা, ড্রামার হিসেবে কিছুটা পর্দার আড়ালে থাকা রিংগোর আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি ইত্যাদির মাধ্যমে এক নতুন আঙ্গিকে ভক্তদের কাছে বিটলসকে উপস্থাপন করেছে A Hard Day’s Night সিনেমাটি। উপরি পাওনা হিসেবে শ্রোতাদের জন্য অ্যালবামের গানগুলো তো থাকছেই। পাশাপাশি সিনেমাটোগ্রাফি ও ভিন্ন আঙ্গিকে গানের দৃশ্যের উপস্থাপন গানগুলোকে দিয়েছে নতুন মাত্রা। আর তাই সব মিলিয়ে সংগীতপ্রেমী ও সিনেমাপ্রেমী উভয়ের জন্য সিনেমাটি দারুন উপভোগ্য হবে বলে আশা করা যায়।
Featured Image: Art of the Movies
Author: Rafayet Arnob,
Student, University of Dhaka