প্রতিদিন পত্রিকা খুললেই চোখে পড়ে নারী নির্যাতন বিশেষ করে ধর্ষণের সংবাদ। ক্রমেই এ ঘটনাগুলো বেড়ে চলছে। আমাদের চারপাশের নারীরা আর নিরাপদ নয়, যে কেউ হতে পারে নির্যাতনের শিকার। সমাজের কিছু পুরুষের অসুস্থ আর বিকৃত মানসিকতার কারণে দিনে-দুপুরে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে নারী। মানসিকতায় পরিবর্তন না আনতে পারলে পরিবর্তন আসবে না সমাজে। তাই এই বিকৃত মানসিকতার বিরুদ্ধে গানের মাধ্যমে প্রতিবাদ করেছে ব্যান্ড ওল্ড ব্রিগেড।
“দেহের কামনা, মনের বাসনা
এ কি আজব চেতনা যাতনা
দেহেতে ফূর্তি, মনেতে পূর্তি
এ যে কুকীর্তি, অসাধু সাধনা
এ ধারণা, আছে মানা”
“এ সমাজের সবচেয়ে বড় দোষ হচ্ছে এখানে কিছু পুরুষ তার আশেপাশের সবকিছুকে পণ্য মনে করে থাকে। আর সবচেয়ে বড় পণ্য হচ্ছে তাদেরই সহযাত্রী, তাদেরই বিপরীত লিঙ্গ ‘মেয়ে’, ‘মহিলা’ কিংবা ‘কন্যা’। কামনা হচ্ছে এই অসুস্থ মানসিকতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। কামনা হচ্ছে এই বিকৃত চিন্তার বিরুদ্ধে শক্ত বারণ।”

গানটির সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল গানটির এনার্জি। শুরু হয় একটি গিটার রিফ দিয়ে, পরে ধীরে ধীরে ড্রামস, বেজ মিলে গানটাকে একটা কম্প্যাক্ট রুপ দেয়। শুরু থেকে যে এনার্জি দিয়ে শুরু হয় গানটি শেষ পর্যন্ত সেই এনার্জিটা গানে পাওয়া যায়। গানটির ড্রামিং বেশ আঁটো, গানটির কথায় যে ক্রোধ বা রাগ ফুটে উঠেছে তা বেশ ভালোভাবেই প্রতিফলন করেছে সুরে। মিউজিক ভিডিওটি তাদের গানের কথার পরিপূরক হয়ে উঠেছে এবং বেশ ভালভাবেই গানটার মূল কথা প্রকাশ করেছে। এটি ইতোমধ্যেই ইউটিউবে ৩৭ হাজার ভিউ পেয়ে গেছে এবং আলোচনার সমালোচনার বিষয়বস্তু হয়ে গেছে।
গানটি নিয়ে তাদের গিটারিস্ট সপ্তক খান বলেন, তারা সমাজের এই বিকৃত মানসিকতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদের হাতিয়ার হিসেবে এই গানটি তৈরি করেছেন। তাদের বক্তব্য গানটির মিউজিক ভিডিও আর ফেইজবুক পেইজের নোটে, তারা পরিষ্কারভাবেই প্রকাশ করেছে।
ওল্ড ব্রিগেড ব্যান্ডের সদস্যরা হচ্ছেন- রিয়াসাত ইয়াসিন শাফি (ড্রামস), ইস্মাম রব্বানি (বেজ), আইনাস তাজওয়ার (গিটার ও ভোকাল), সপ্তক খান (লিড গিটার)।